4th dimension(4D) (চতুর্থ মাএা) এবং অজনার অনেক কিছু
_______________ _______________ ___________
মাত্রা জিনিসটা আমরা সবাই কম-বেশী জানি। যেমন মানুষ হল তৃমাত্রিক প্রানী (যার দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতাআছে), একটা প্লেইন কাগজ হল দ্বিমাত্রিক (যার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ আছে, পুরুত্বকে যদি আমরা শুন্য ধরে নেই!)
তেমনি চতুর্থ একটা মাত্রা হল সময়। এখানে বলে রাখা ভালো আমাদের ধারনা জগতএই ৪ টা মাত্রার মাঝে সীমাবদ্ধ, এর বেশি আরো কোনো মাত্রা আছে কিনা তা আমাদের ধারনারও বাহিরে।কারন আমাদের পৃথিবী আবর্তিত এই চারটি মাত্রার মাঝে।
প্রথম তিনটি মাত্রা আমরা চাইলেই পরিবর্তন করতে পারি (দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা) কিন্তু চতুর্থটিকে (সময়) আমরা পরিবর্তন করতে পারিনা। ঠিক যেমনি একটি দ্বিমাত্রিক বস্তু তার উচ্চতাকে পরিবর্তন করতে পারে না, আবারচতুর্থ একটা মাত্রা আছে, এটা সে জানেই না!!!
এখন কথা হল দ্বিমাত্রিক বস্তু কি জিনিস? মনে করুন আপনার একটা ছবি, সেইটাকে আমরা বলতেআরি দ্বিমাত্রিক (আপেক্ষিক ভাবে)। বস্তুত দ্বিমাত্রিককিছুকে ধারন করার জন্য আমরা আরেকটা ত্রিমাত্রিক বস্তুর সাহায্য নেই, যাকিনা আপেক্ষিক ভাবে আমরা দ্বিমাত্রিক বলে চালিয়ে দেই (একটা ডাইমেনশান ইগনোর করে)!! এখন এমন অসংখ্য স্থির ছবি নিয়ে পরপর সাজালে হবে একটা ত্রিমাত্রিক জগত, এইটা আমরা সবাই জানি।
ঠিক তেমনি অনেকগুলো ত্রিমাত্রিক জগৎ কে পরপর সাজালে হবে একটা চতুর্মাত্রিক জগৎ। এইখানেও সেই একই কথা প্রযোজ্য, আর তা হল ত্রিমাত্রিক জগৎ কে ধারন করার জন্য একটা চতুর্মাত্রিক বস্তু প্রয়োজন (যাকে আমরা একটা নির্দিষ্ট সময় বলতে পারি। ক্যালকুলাসের ভাষায়
d/dt (x,y,z)= constant)
আপনার সামনে একটা বইয়ের অনেক গুলো পাতা, আপনি চাইলে সেই লিখাগুলো আপনি পড়তে পারেন, কিন্তু ঐ লিখা (আমি পাতার কথা বলছিনা, হরফের কথা বলছি) এর গভীরতা আপনার পক্ষে মাপা সম্ভবনা, আর যদি মাপতেও পারেন তাহলে সেটা হবে খুব নগন্য!
ঠিক একই রকম ভাবে একটা চতুর্মাত্রিক বস্তু বা প্রানীর সামনে যদি অনেকগুলো ত্রিমাত্রিক বস্তু রেখে দেয়া হয়, তাহলে সে সেগুলোকে পড়তে পারবে, তবে কোনটা কোন সময়ের সেইটা সে বুঝতে পারবেখুব সামান্য! এর কারন হল তার কাছে সময় স্থির, সে এটাকে ইচ্ছামত পরিবর্তন বা ভাগ করতে পারে (যেমন আমরা দৈর্ঘ্য, প্রস্থ বা উচ্চতা পরিবর্তন করতে পারি)। এখন তার সামনে আজকের তৃমাত্রিক জগতের বিম্ব ও ১০০ বছর আগেরবা ১০০ বছর পরের একটা বিম্ব মনে হবে ঠিক তেমনই, যেমন আমাদের কাছে একটা বই!!আমরা চাইলেই বইয়ে যেকোনো জায়গা থেকে পড়া শুরু করতে পারি, ঠিক তেমনি সে চাইলেই যেকোনো সময়েরটা পড়তে পারে বিনা কষ্টে।
তাহলে দাড়াঁলো, তার কাছে এই মহা বিশ্ব একটা থালায় সাজানো অনেকগুলো ত্রিমাত্রিক জগতের সমন্নয়! বড় মজার ব্যপার হল, তার কাছে অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত বলতে কিছু নেই, সবই সমান!!তাহলে সে কিসের উপর পরিবর্তিত হয়?? (আমরা যেমন সময়ের আবর্তে আবর্তিত হই!)। তার মানে, ৫ম মাত্রা বা এর উপরেও কিছু আছে (যা আমাদের ভাবনারওবাহিরে)!!!!!
কুরআনের কিছু কিছু লাইনে আমরা এই সময় বা চতুর্থ মাত্রা সম্পর্কে কিছুটা ধারনা পেতে পারি। একটু খেয়াল করে দেখুন, কিছু কিছু আয়াতআছে, যেগুলোতে বলা হচ্ছে ভবিষ্যতের কথা কিন্তু বর্তমান কাল দিয়ে! কেয়ামতের দিন কি হবে, বেহেস্ত, জাহান্নামে কে যাবে, কি ধরনের শাস্তি কাকে দেয়া হবে.. এর কিছু লাইন বর্তমানকালে দেয়া হয়েছে রেফারেন্স হিসাবে। এর পিছনে মূল কারন হয়তো ঐ একটাই। কারন আমাদের স্রস্টার কাছে সময় স্থির বা এত নগন্য পরিবর্তন যে সেটা অনাহাসে ইগনোর করা যায়! তাই ১ কোটি বছর পর কি হবে বা ১ কোটি বছর আগে কি হয়েছিল সবই তাঁর কাছে বর্তমান! (আমার ধারনা ভুল হলে মাপ পরে দিবেন)। হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) যখন মিরাজে গমন করেছিলেন তখন অনেক ঘটনা উনার চোখের সামনে ঘটেছিল, যা অদুর ভবিষ্যতে বা অতীতে হয়েছিল বা হবে। কিন্তু আমদের সময় সাপেক্ষে যা হয়তো কল্পনা প্রসুত! তার মানে উনি সময় পরিবর্তন করে ছিলেন (একটা বইয়ের পাতাকে যদি আমরা একটানির্দিষ্ট সময় চিন্তা করি তাহলে দরুন বইয়েরপাতা ছিদ্র করে অন্য পাতায় যাওয়ার মত!) এরজন্য উনি সাহায্য নিয়েছিলেন বোরাক নামের যান!
তাহলেকি কোনো বিশেষ কিছুর সহায়তায় আমরা অতীত বা ভবিষ্যতে যাওয়া সম্ভব??? আমাদের উত্তর হবে – না!!!
কারন আলোর গতির চেয়ে বেশি গতি আমাদের সূত্র মতে সেটার কোনো অস্তিত্ব নেই বাথাকবেনা (কারন সেটা সম্পূর্ন শক্তিতেরুপান্তরিত হয়ে যাবে E= mc2)। সেখানে একটা সময় ছেদ করে আরেকটা সময়ে যাওয়ার কোনো অবস্থা আমাদের নেই! আমি এখান থেকে বাংলাদেশে ৩ ঘন্টায় ও যেতে পারি, বা ৩ মাসেও যেতে পারি। এখন কোনো কারনে যদি আমি বাংলাদেশে ১ মিনিটে চলেযাই তাহলে কি আমি ভবিষ্যতে চলে যাবো??অবশ্যই না! কারন আমি শুধু সময় বাচিঁয়েছি মাত্র, সময়ের অক্ষ ব্যবস্থার পরিবর্তন করি নি। (কারন আমার কাছে মিনিট, সেকেন্ড বা ঘন্টাই ধ্রুব সত্য!!)
সময়কে অতিক্রম করতে গেলে লাগবে সময়ের অক্ষ ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করা (ঠিক যেমন জ্যামিতিতে আমরা একটা গ্রাফের মানকে অন্য একটা মানে রুপান্তরিত করি)। সেটা ব্যাখ্যা করার জন্য আরো অনেক কিছু বলতে হবে। —